Sunday, September 22, 2019


একটি ভয়ানক এ্যাম্বুলেন্স
তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট এবং খুবই আদরের ছেলে সোহেল। সে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। ছাত্র হিসাবে খুব ভাল ছিল। টিচার, বাবা-মা, ভাইসহ পাড়াপ্রতিবেশিদের সবার পছন্দের ছেলে। একদিন সন্ধ্যার আগে একা, একা বল খেলছিল বাসার পাশেই, বলটি গড়িয়ে, গড়িয়ে পাশের ঝোপে চলে যা ৩/৪ বার। যথারীতিতে সন্ধ্যা হল বাসায় ফিরে শরীর খুব খারাপ লাগছে বলে মাকে। পরে সে বিছানাতে শুয়ে পড়ে, ঘন্টা দেরেক পর থেকে শুরু হল আসল ঘটনা। সোহেলে চোখ বড় বড় করে শরীরে জ্বর নিয়ে এদিক ঐদিক তাকাচ্চিল। সোহেলে মা ভয় পেয়ে তার বাবাকে বিষয়টা জানায়। বাবা বলেন শরীরে জ্বর তাই হয়ত এমন করছে। আমি এখনি ডাক্তার নিয়ে আসছি। বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি চলছে। অবশ্য সোহেরলে মা বলে ছিল যদি একজন ভাল কবিরাজ আনা হতো । তাতে সোহেলে বাবা কোন মত ছিল না, যেহেতু তিনি এসবে বিশ্বাসী নয়। ডাক্তার এসে জ্বর পরীক্ষা করে বলেন রোগীর অবস্থা ভাল নয় আপনার যত তাড়াতাড়ি পারেন হসপিটালে ভর্তি করেন। সোহেলে বাবা হসপিটালে ফোন করল একটি এ্যাম্বুলেন্সের জন্য তারা বলল এখনি পাঠাচ্ছি। মজার ব্যপার হল বাসার নিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে এ্যাম্বুলেন্সটি এসে হাজির কেউ বুঝতে পারেনি ১০ মাইল পথ এর পর আবার আকাবাকা পথ এটা কিভাবে সম্ভব! রোগীর অবস্থা ভাল না তাই এই বিষয়ে কেউ ভাল করে ভাবতে পারেনি। এ্যাম্বুলেন্সটি খুবই গতিতে চলছে, ছটপট করছে সোহেল। সোহেলের বাবা যখনি ড্রাইভার কে বললেন ভাই আর একটু তাড়াতাড়ি করেন, তখনি সবাই দেখতে পেল ড্রাইভিং সিটে কেউ নেই, এ্যাম্বুলেন্সটি নিজে নিজে চলছে। সবাই হতবাক। সোহেলের বাবা ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসার জন্য এগিয়ে গেল ঠিক তখনি কোন একটা অদৃশ্য শক্তি তাকে ধাক্কা মেরে পিছনে ফেলে দেয়। সবাই স্পষ্ট বুঝতে পারছে তাদের এ্যাম্বুলেন্সটি আর রাস্তার উপর নেই শূন্যে উড়ছে। সোহেলে বাবা কান্না কন্ঠে বলল তুমি যেই হওনা কেন আল্লাহর দোহাই আমাদের হসপিটালে নিয়ে যাও। একটু পরেই এ্যাম্বুলেন্সটি শব্দ করে মাটিতে পড়ে গেল। সবাই দেখতে পেল তার হসপিটালের গেইটের সামনে আছে। তারাহুরা করে সবাই সোহেলকে ভর্তি করল, ডাক্তার রোগীকে দেখে বলল রোগী মারা গেছে। সোহেলে বাবা বলল আপনারা কেমন এ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছে? হসপিতাল থেকে বলা হল দুংখিত বৃষ্টির কারণে আমরা এ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে পারিনি, পরে তারা যে এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে এসেছিল সেটি অনেক খোজাখুজি করেও তার আর হদিস মিলল না।

Saturday, September 21, 2019


একটি সাইকো সিরিয়াল কিলার
যথারীতিতে রেজা তার রাতের জগতের জন্য মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাইরে ছিল। যখন তিনি ফুটপাতে বাউন্স করেছিলেন তখন তার কালকে বাতাসে উড়ছিল তার টি-শার্ট এবং ঘামের হালকা গন্ধ পাচ্ছিল। বাতাস যখন উঠল তখন সে খুব ভাল সময় কাটাচ্ছিল। এটি তার হাড় শীতল। তিনি তার গতি অবিরত চলছে,  খুব শীঘ্রই ফিরবে ভাবছে। আজকের রাতে রেজাকে কেবল বিরক্ত করার বিষয়টিই আমরা জানতাম স্পষ্টতই, এলাকাতে একটি সাইকো সিরিয়াল কিলার ছিল। যিনি কিনা রাতের বেলায় রাস্তাঘাটে মানুষের হত্যার সন্ধান করেছিলেন। এখনও অবধি কেবল তিনজনই শিকার হয়েছে বলে আমাদের ধারণা, দু'জন পুরুষ এবং একজন কলেজ ছাত্রী। ভাগ্যক্রমে রেজার পক্ষে, সাইকো সিরিয়াল কিলার শহরের অন্যদিকে আক্রমণ করেছিল। তবুও, তিনি খুব দেরী করে বেরিয়ে আসার চিন্তা পছন্দ করেন না রেজা, তাই তার স্বাভাবিক পাঁচ মাইল রাস্তাটি দুই মাইল অবধি কেটে ছিলেন। এমনকি এই সমন্বয়টি সহ, রেজা এখনও উদ্বেগের একটি ছোট উৎসাহ অনুভব করেছিলেন।
তারপরে, আশ্চর্যের সাথে যথেষ্ট, সমস্ত স্ট্রিট লাইট বেরিয়ে গেল। রেজা পিছনে, একটি অদ্ভুত গণ্ডগোল হচ্ছে মনে হল। "হ্যালো?" কে যেন  ডাকল, ঘুরে ফিরে। তিনি তখন ঝোপের দিকে তাকায়, নিশ্চিত যে এটিই হত্যাকারী। কেবল ঝোপঝাড়ের দিকে তাকিয়ে, রেজা তার হৃদয়কে এত শক্ত করে অনুভব করতে পারল যে অনুভূত হয়েছিল যেন এটি তার বুক থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। হঠাৎ ঝোপঝাড় থেকে কিছু লাফিয়ে উঠল। রেজা রক্ত-দহনের আর্তনাদ ছেড়ে দেয়। একটি দীর্ঘশ্বাস তার মুখ থেকে পালিয়ে গেল কারণ সে দেখল যে এটি কেবল একটি ছোট কাঠবিড়ালি। স্বস্তি পেয়েছে যে এটি কেবল একটি ছোট প্রাণী ছিল, রেজা পিছনে কালো অন্ধকারে জগিং চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু তিনি তার গতি বাড়িয়ে তুললেন। তিনি যখন পার্কের বেঞ্চ পেরিয়ে যাচ্ছিলেন, উপরের স্ট্রিট লাইটটি এসে ঝকঝকে আলে দিতে ব্যস্ত ছিল আর জগিং থেকে ক্লান্ত হয়ে বেঞ্চে বসেছিলেন। রেজার হার্ট বিট উঠেছে। তার চারপাশে থেকে পদবিন্যাস শুনতে পাচ্ছে। সে আশেপাশে তাকিয়ে দেখল কেউ নেই। পা বাড়িয়ে দিল আরও জোরে, আর জোরে, আর জোরে! পদবিন্যাস হঠাৎ থেমে গেল। রেজা নীচে তার ছায়া দেখল এবং সাথে আরও  অন্য একটি ছায়া। সে আস্তে আস্তে মাথা ঘুরিয়ে নিল এবং অন্য ব্যক্তিকে  দেখতে পেল। রেজা একটি বিড়বিড় করে দোয়া পড়তে চেষ্টা করছিল, কিন্তু সেই সময় তা আর হয়ে উঠছিল না। একটি তীক্ষ্ণ এবং ঠান্ডা জিনিস তার গলা কেটে চলে গেছে। রেজা সাহায্যের জন্য চিৎকার করার চেষ্টা করেছিল তাও আর করা হলো না তার পক্ষে, তবে রক্তে ভরা ফুসফুসের কারণে তার নিঃশ্বাস তীব্রতর হয়ে ওঠে। তিনি তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসা রক্তের স্রোত অনুভব করতে পারেন। জীবনের শেষ মুহুর্তে সেই বেঞ্চে থামার জন্য রেজা মানসিকভাবে নিজেকে শাস্তি দিয়েছেন। অবশেষে, তার প্রাণহীন দেহটি বেঞ্চে ঝাঁকিয়ে পড়ে এবং হত্যাকারীর কাছ থেকে একটি উন্মাদ হাসির প্রতিশব্দ তার কানে বাজে। রেজা ধরেই নিয়েছিল যে তার জীবনের শেষ ঘন্টাটা এই বেঞ্চেই হতে যাচ্ছে। কিন্ত এর ভেতর আশার আলো দেখতে পায় রেজা। মা তাকে জোরে জোরে ডাকছে এই রেজা, রেজা এখন কয়টা বাজে অফিসে যেতে হবে না অলস ছেলে কোথাকার? চোখ খুলে দেখে সামনে মা দাঁড়িয়ে আছে। রেজা কান্না কন্ঠে বলে মা আমি এখনও বেঁচে আছি! মা বললেন তুই না বাঁচলে আমাকে জ্বালাবে কে!!!